এক বছরের বেশি সময় ধরে সংগীতাঙ্গনের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র দুই বোন ফাহমিদা নবী ও সামিনা চৌধুরীর একটি দ্বৈত অ্যালবামের কাজ চলছিল। দুই বোনের অন্য কাজের ব্যস্ততায় যেন অ্যালবামটির কাজ শেষই হচ্ছিল না। কিন্তু অ্যালবামের আয়োজক গীতিকার জুলফিকার রাসেল ধৈর্য ধরে নীরবে কাজ করে যাচ্ছিলেন। অবশেষে এ দ্বৈত অ্যালবামের কাজ শেষ হয়েছে চলতি সপ্তাহেই। অ্যালবামে দুই বোনের কণ্ঠে চারটি করে মোট আটটি গান থাকবে। সব গানই লিখেছেন জুলফিকার রাসেল। গানগুলোর সুর করেছেন নচিকেতা এবং সংগীতায়োজন করেছেন সামিনা-ফাহমিদার ভাই পঞ্চম। অ্যালবামের নাম রাখা হয়েছে ‘এক আকাশের গান’। যেহেতু সামিনা, ফাহমিদা এবং তাদের ভাই পঞ্চমও অ্যালবামটির সঙ্গে জড়িত তাই সবদিক বিবেচনা করেই এর নাম রাখা হয়েছে ‘এক আকাশের গান’। অ্যালবামটি প্রসঙ্গে সামিনা চৌধুরী বলেন, সত্যি বলতে কী, এটা আমাদের দুই বোনের স্বপ্নের একটি অ্যালবাম। সব গানের কথা এবং সুরই অনেক ভালো হয়েছে। প্রতিটি গানই যেন একেকটি আলাদা গল্প। আমাদের ভক্তদের কথা চিন্তা করেই আসলে সময়ের দাবিকে মেনে নিয়ে সময়ের গানই করার চেষ্টা করেছি আমরা। অনেক বেশি ভালোলাগা এই যে, আমাদের দুই বোনের প্রথম দ্বৈত অ্যালবামে আমাদের ভাই পঞ্চমও জড়িত আছে। তাই সবমিলিয়ে অ্যালবামটির প্রতি অনেক ভালোবাসা জন্মেছে। অনেক ধন্যবাদ জুলফিকার রাসেলকে। ফাহমিদা নবী বলেন, ‘এক আকাশের গান’ নিয়ে স্বপ্ন দেখা আসলে জুলফিকার রাসেলের। অনেকেই এর আগে আমাদের দুবোনকে নিয়ে অ্যালবাম করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সত্যি বলতে কী, আমরা এতই ব্যস্ত থাকি, আমাদের দিয়ে কাজ আদায় করে নিতে হয়। জুলফিকার রাসেলের সেই ধৈর্য এবং আন্তরিকতা ছিল বলেই আজ এই অ্যালবামটির কাজ শেষ হয়েছে। তাই রাসেলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আমরা চেষ্টা করেছি সময়ের দাবিকে মেনে নিয়ে শ্রোতাদের ভালোলাগার মতো কিছু গান করতে। আশা করি শ্রোতাদের ভালো লাগবে। এদিকে অ্যালবামটি ঈদেই আসার কথা ছিল লেজার ভিশনের ব্যানার থেকে। কিন্তু আপাতত তা আসছে না। বিষয়টি নিশ্চিত করে লেজার ভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ইচ্ছে ছিল ঈদেই শ্রোতাদের হাতে ‘এক আকাশের গান’ তুলে দেয়ার। কিন্তু সামিনা আপা হজে যাওয়ার কারণে তা পিছিয়ে ঈদের পর নেয়া হলো। উল্লেখ্য, গত ১৯শে আগস্ট সামিনা চৌধুরী হজব্রত পালন করতে সৌদি আরব গিয়েছেন। তিনি দেশে ফিরবেন ১৭ই অক্টোবর।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.