ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১৭ রানে ছয় উইকেট খোয়ালো বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ইনিংসে ব্যাটিং ধসের তালিকায় এটি উঠে পড়লো সপ্তম স্থানে। ৫০ ওভারের খেলায় এ নিয়ে ২০ বা তার কম রানে বাংলাদেশের ছয় উইকেট বিসর্জনের ঘটনা দেখা গেলো ১০ বার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৭ রানে টাইগারদের ইনিংসের শেষ ছয় উইকেট খোয়াতে দেখা গিয়েছিল ২০১১ বিশ্বকাপে। তাও মিরপুর শেরেবাংলা মাঠেই। টাইগারদের ব্যাটিং ধসের সবচেয়ে করুণ ছবিটা দুই বছর আগের। মিরপুর মাঠে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে ৮ রানে শেষ সাত উইকেট খোয়ায় বাংলাদেশ। ২০১৪ সালের ১৭ই জুন ওই ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে মাত্র ১০৫ রানে গুঁড়িয়ে যায় ভারতের ইনিংস। অভিষেক পাঁচ উইকেটের কৃতিত্ব দেখান পেসার তাসকিন আহমেদ। কিন্তু জবাবে ৫৮ রানে ইনিংস গুটায় টাইগাররা। ইনিংসের ১৩.১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৫০/৩। আর ১৭.৪ ওভার শেষে হার নিশ্চিত হয় টাইগারদের। শুক্রবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১০ রানের টার্গেটে ৪১.৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২৭১/৪। ছয় উইকেট হাতে রেখে তখন জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ৫১ বলে ৩৯ রান। ক্রিজে ১১৮ রানের জুটিতে ব্যাট করছিলেন ইমরুল কায়েস ও সাকিব আল হাসান। কিন্তু ইনিংসের ১৩ বল বাকি রেখে দলীয় ২৮৮ রানে থমকে পড়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মাটিতে আট ম্যাচে প্রথমবার দলীয় ৩০০ রানের কৃতিত্ব দেখালো ইংলিশরা। এখানে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ সংগ্রহটা ছিল ২০১০ সালে চট্টগ্রামে ২৮৪/৫।
টাইগারদের ব্যাটিং ধস (৬ বা বেশি উইকেট) রান প্রতিপক্ষ ভেন্যু সাল ৮ ভারত মিরপুর ১৭ই জুন ২০১৪ ১২ ভারত দাম্বুলা ১৬ই জুন ২০১০ ১৩ ও. ইন্ডিজ সেন্ট জর্জেস ২২শে আগস্ট ২০১৪ ১৪ কানাডা ডারবান ১১ই ফেব্রু. ২০০৩ ১৫ অস্ট্রেলিয়া ম্যানচেস্টার ২৫শে জুন ২০০৫ ১৬ অস্ট্রেলিয়া ডারউইন ৩০শে আগস্ট ২০০৮ ১৭ ও. ইন্ডিজ মিরপুর ৪ঠা মার্চ ২০১১ ১৭ ইংল্যান্ড মিরপুর ৭ই অক্টো. ২০১৬ ১৯ জিম্বাবুয়ে হারারে ১৪ই মার্চ ২০০৪ ২০ নিউজিল্যান্ড কুইন্সটাউন ৩১শে ডিসে. ২০০৭
আরো যা উঠলো রেকর্ড বইয়ে- ১ম ইংলিশ বোলার হিসেবে ওয়ানডে অভিষেকে পাঁচ উইকেটের কৃতিত্ব কুড়ালেন জেক বল। ৫০ ওভারের খেলায় অভিষেকে ইংল্যান্ডের সেরা বোলিং ফিগারটি ছিল অ্যাডাম হলিওকের ৪/২৩। বার্মিংহামের এজবাস্টন মাঠে ১৯৯৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে এ কৃতিত্ব দেখান পেসার হলিওক। শুক্রবার বাংলাদেশের বিপক্ষে পেসার জেক বল ৫১ রানে নেন পাঁচ উইকেট। ম্যাচ শেষে জিতে নেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। অভিষেকে ম্যাচসেরা পুরস্কার জয়ী ১৪তম ইংলিশ ক্রিকেটার তিনি। ২য় ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে এশিয়ার মাটিতে পাঁচ নম্বরে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির কৃতিত্ব দেখালেন বেন স্টোকস। ক্রিজে দুইবার জীবন পেয়ে ১০১ রান করেন এ বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। ৪৫ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে বেন স্টোকসের এটি প্রথম সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের এমন আগের ঘটনাটিও বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০১০ সালে পাঁচ নম্বরে ব্যাট হাতে মিরপুরে ১১০ রানের ইনিংস খেলেন এউইন মরগান। ৩য় কনিষ্ঠ ইংলিশ ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডে অভিষেকে অর্ধশতক হাঁকান বেন ডাকেট। নিজের উইকেট দেয়ার আগে ২১ বছর ৩৫৬ দিন বয়সী এ বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান করেন ৬০ রান। ১৯৯৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেকে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন ১৯ বছর ১৯৫ দিন বয়সী বেন হলিওক। ২১ বছর ১২২ দিন বয়সে অভিষেক ওয়ানডেতে ফিফটি হাঁকান অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। ৪/৪৯ আদিল রশিদের সেরা ওয়ানডে ফিগার। মিরপুরে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ইংল্যান্ডের এ লেগ স্পিনার সাজঘরে ফেরান ইমরুল কায়েস, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহীম ও মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। ওয়ানডেতে তার আগের সেরা নৈপুণ্যটা ছিল ৪/৫৫। ৫ বার এশিয়ার মাটিতে ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের ১৫০ রানের জুটির ঘটনা দেখা গিয়েছিল আগে। শুক্রবার চতুর্থ উইকেটে স্টোকস-ডাকেট গড়েন ১৫৩ রানের জুটি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.