ইংল্যান্ড দলের বাংলাদেশ আসার বিষয়টি ক্রিকেটারদের জন্য অনেক বড় স্বস্তি বলেই বিশ্বাস করেন জাতীয় দলের তরুণ পেসার আল আমিন হোসেন। তবে আফগানিস্তানকে মনে করেন বড় চ্যালেঞ্জ ও প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে। গতকাল সংবাদ মাধ্যমকে এই পেসার বলেন, ‘যখন শুনলাম ইংল্যান্ড আসবে তখন সব ক্রিকেটারই স্বস্তি বোধ করেছে। কারণ ওরা না আসলে তো আমাদের কোনো খেলাই হতো না।’ আর আফগানিস্তান নিয়ে আল আমিন বলেন, ‘আফগানিস্তান আসবে কি না আমরা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানি না। যদি আসে তাহলে চ্যালেঞ্জও বলতে পারেন আবার প্রস্তুতির ভালো মঞ্চও বলতে পারেন। ওরা ভালো ক্রিকেট খেলছে। অন্যদিকে আমরা অনেক দিন ক্রিকেট থেকে বাইরে। এজন্য আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে, আমরা ভালো।’ আল আমিন ২০১৪ এশিয়া কাপে আফগানদের কাছে হারটি এখনও ভুলতে পারেননি। আফগানদের চ্যালেঞ্জ মানলেও জয়ের বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত আল আমিন হোসেন। আর এই বাড়তি আত্মবিশ্বাসের কারণ দেশের মাটিতে টানা পাঁচ সিরিজ জেতার রেকর্ড। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ওরা (আফগানিস্তান) আমাদের কাছে পাত্তাই পাবে না। আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ ওদেরকে সবগুলো ম্যাচ হারানোর। এটি করতে পারলে ইংল্যান্ডের আসার আগে বড় প্রাপ্তি হবে এবং অভিজ্ঞতাও বাড়বে বলে আমি বিশ্বাস করি।’ জাতীয় দলের শেষ সাফল্যগুলোতে বেশ বড় ও জোরালো ভূমিকা ছিল পেসারদের। এর মধ্যে তরুণ পেস সেনসেশন মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ বল হাতে দারুণ অবদান রেখেছেন। কিন্তু কাঁধে অস্ত্রোপচার করানো মোস্তাফিজুর রহমানকে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাবে না বাংলাদেশ। এছাড়াও ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে নিষিদ্ধ হন তাসকিন আহমেদ। এখনও তিনি আইসিসির কাছে পরীক্ষা দেননি। আগামী ৮ই সেপ্টেম্বর পরীক্ষা দেয়ার পর আইসিসি যদি তাকে বৈধ ঘোষণা করে তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে পারবেন তাসকিন। তাই ইংল্যান্ড ও আফগানদের বিপক্ষে পেস আক্রমণে মাশরাফির ভরসা হবে আল আমিন ও রুবেল হোসেনরাই। এই বিষয়ে আল আমিন বলেন, ‘মোস্তাফিজ, তাসকিন, রুবেল ভাই কিংবা মাশরাফি ভাই, আমি যে যখন সুযোগ পেয়েছি নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আমি মনে করি মোস্তাফিজের ফিরতে ছয় মাস সময় লাগবে। এ জায়গায় তাসকিন, রুবেল ভাই, মাশরাফি ভাই কিংবা আমি যেই থাকি না কেন খুব বড় চ্যালেঞ্জ হবে। কারণ ওর যে ভিন্নতা, ওর যে অস্ত্র সেগুলো আমাদের কারোরই নাই। এজন্য আমাদেরকে আমাদের সেরাটা দিতে হবে।’ অন্যদিকে ওয়ানডেতে পেস আক্রমণ ভালো হলেও টেস্টে কিছুটা সমস্যা থেকে যাচ্ছে এই বিভাগ নিয়ে। কারণ টেস্ট খেলতে পারছেন না মাশরাফি ও তাসকিন। ইনজুরি থেকে ফেরা রুবেল, মো. শহীদ, আল আমিন ও শফিউলরাই হবে টেস্টের ভরসা। এ প্রসঙ্গে আল আমিন বলেন, ‘আসলে টেস্টা নির্ভর করছে উইকেটের ওপর। তখন দেখতে হবে কি ধরনের উইকেট হয়। সে ভাবেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আক্রমণ সাজানো হবে। আমি মনে করি ওয়ানডে বা টেস্ট যেখানেই হোক আমাদের শতভাগ উজাড় করেই দিতে হবে।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.