আজ মঙ্গলবার ভোররাত ও সকালে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।নিহত দুজন হলেন গৃহবধূ মৌসুমী বেগম (২২) ও শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার (১৭)। তাঁদের মধ্যে মৌসুমী ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। ফাতেমার মৃত্যুর কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসিনুল কাদির জানান, আশুলিয়ার কাঠগড়ার দুর্গাপুর এলাকায় মৌসুমী-সাদ্দাম হোসেন দম্পতি বসবাস করতেন। কয়েক দিন ধরে ওই দম্পতির মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটি ও ঝগড়া চলে আসছিল। আজ ভোররাতে ওই গৃহবধূ তাঁর মায়ের সঙ্গে স্থানীয় একটি বাজারে যাওয়ার পথে স্বামী সাদ্দাম হোসেন পেছন থেকে তাঁকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মৌসুমী।
এ ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী অটোরিকশা চালক সাদ্দাম হোসেন পলাতক।
মৌসুমী বেগম নওগাঁ জেলার মান্দা থানার বইলশিং গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে। তিনি স্থানীয় সাউদার্ন পোশাক কারখানার কর্মী ছিলেন।
অন্যদিকে সকালে সাভার পৌর এলাকার বাড্ডা ভাটপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির একটি কক্ষ থেকে ফাতেমার লাশ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন সাভার মডেল থানার ওসি এস এম কামরুজ্জামান। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো জানা জায়নি, কীভাবে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট থানার ওসিরা জানান, নিহত মৌসুমীর লাশ আশুলিয়া থানায় রয়েছে। কিশোরী ফাতেমার লাশ এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছে। স্থানগুলো থেকে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.