ভারতের এক পান দোকানি ঘনশ্যাম। তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৯ই নভেম্বর থেকে ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে জমা পড়েছে ৫ কোটি রুপি। এর বাইরে তার আরো আছে দুটি অ্যাকাউন্ট। সব মিলে তার জমা অর্থের পরিমাণ ১২ কোটি রুপি বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের আইটি বিভাগের তদন্তে এমনটা বেরিয়ে এসেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে বলা হয়, উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ ডেভেলমমেন্ট অথরিটির অফিসে যেসব মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করেন, নাভিউগ মার্কেট এলাকার ঘনশ্যামকে চেনার কথা। তিনি ওই অফিসের কাছে পান বিক্রি করেন। আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা তদন্তে তার অ্যাকাউন্টে দেখতে পেয়েছেন ৯ই নভেম্বর থেকে ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে তার অ্যাকাউন্টে এসব অর্থ জমা দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এ সময়টা ছিল কালো টাকা বিরুদ্ধে সরকারের বিশেষ ব্যবস্থার সময়। এখন ঘনশ্যামের অ্যাকাউন্ডে কিভাবে এত অর্থ জমা হলো! ঘনশ্যাম অবশ্য বলেছেন, তিনি শুধু পানই বিক্রি করেন না। তিনি আয়কর বিভাগের কর্মকর্তাদের বলেছেন, একজন প্রপার্টি ডিলার রাহুল চৌধুরীকে তিনি তার অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। বলা হয়েছে, তিনি ঘনশ্যামের অ্যাকাউন্টে মাসে ৮ হাজার রুপি জমা দিতে পারবেন। এ অ্যাকাউন্টটি পরিচালনা করেন রাহুল চৌধুরী। তদন্তে এখন দেখা যাচ্ছে, শুধু রাহুল চৌধুরীই নন, দিল্লি ও মিরাটের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরাও ঘনশ্যামের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে থাকতে পারেন। নেহরু নগরে জম্মু অ্যান্ড কাশ্মির ব্যাংকের শাখায় ঘনশ্যামের আছে আরো দুটি অ্যাকাউন্ট। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানেও সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্ট মিলে তার অর্থের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১২ কোটি রুপি। আইটির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, আমাদের তদন্তে মনে হচ্ছে এই দুটি অ্যাকাউন্টও ভুয়া। ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে এ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে থাকতে পারে। এতে জমা দেয়া হয়েছে বাতিল হয়ে যাওয়া ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট। আমাদের তদন্তে দেখা গেছে, এ দুটি অ্যাকাউন্টও পরিচালনা করতেন রাহুল চৌধুরী। আইটি বিভাগ এখনো এ বিষয়ে মামলা করেনি। তাই ঘনশ্যাম বা রাহুল চৌধুরী কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি। আপাতত এখন গোয়েন্দারা তদন্ত করে দেখছেন কিভাবে ঘনশ্যামের অ্যাকাউন্টে এই টাকা লেনদেন হয়েছে। নিজের অ্যাকাউন্ট রাহুল চৌধুরীকে ব্যবহার করতে দেয়ার বিনিময়ে ঘনশ্যাম কোনো কমিশন পেতেন কিনা তাও দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, রাহুল চৌধুরীর বসবাস গাজিয়াবাদের নিউ পঞ্চবটি কলোনিতে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.