বয়স ১০০ পেরিয়েছে তো কী হয়েছে? অনেকেই আছেন, যাঁরা ১০০-র কোঠায় গিয়েও শরীর ঠিক রাখতে পেরেছেন। কী খেয়ে তাঁরা শতায়ু হলেন? চলুন জেনে আসি সেই তথ্য:
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তিটির নাম এমা মোরানো। যুক্তরাজ্যের এই বৃদ্ধা গত বছর তাঁর ১১৭তম জন্মদিন উদ্যান করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর দীর্ঘায়ুর রহস্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানান। তিনি প্রতিদিন তিনটি করে ডিম খান। এর মধ্যে দুটি কাঁচা ডিমের সঙ্গে কিছুটা কাঁচা মাংসের কিমা খান তিনি।
জীবদ্দশায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন সুসানা মুসাত জোন্স। ২০১৬ সালে ১১৬ বছর বয়সে মারা যান তিনি। দীর্ঘায়ু লাভের কারণ সম্পর্কে সুসানা বলেছিলেন, তিনি নাশতায় চার টুকরো বেকন ও ডিম খান।
২০১৫ সালে ১১৭ বছর বয়সে মারা যাওয়ার আগে জাপানের মিসাও ওকাওয়া ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি। এশিয়ার সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তিও ছিলেন তিনি। জাপান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওকাওয়া বলেন, সুস্বাদু জিনিস খাওয়াই তাঁর দীর্ঘায়ুর রহস্য। তিনি প্রচুর সুসি খেতেন এবং দৈনিক আট ঘণ্টা করে ঘুমাতেন।
৯৮ বছর বয়সী টাও পর্চন-লিঞ্চকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক যোগব্যায়াম গুরু বলা হয়। তিনি নিরামিষাশী। তবে মাঝেমধ্যে চিংড়ি খান। এ ছাড়া সতেজ ফল ও সবজি তাঁর পছন্দ।
বিশ্বের অন্যতম বয়স্ক পুরুষ ১১৩ বছর বয়সী ইসরায়েল ক্রিস্টাল তাঁর দীর্ঘায়ুর রহস্য সম্পর্কে বলেন, তিনি সংরক্ষণে রাখা হেরিং মাছ খান নিয়মিত।
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত নিউ জার্সির অ্যাডেলে ডানলপ তাঁর দীর্ঘায়ুর রহস্য সম্পর্কে বলেন, তিনি খাবারে বাছবিচার করেন না। সবকিছু খান। তবে ওটমিল তাঁর পছন্দের খাবার।
ভারতের মিরাটের ধর্মপাল সিং গোধার বয়স ১১৬। তিনি সবচেয়ে বয়স্ক অ্যাথলেট হিসেবেও পরিচিত। নিজের দীর্ঘায়ু সম্পর্কে ধর্মপাল বলেন, তিনি চর্বি, ক্যাফেইন এড়িয়ে যান। নিয়মিত গরুর দুধ আর মৌসুমি ফলমূল খান।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.