গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালপল্লীতে আগুনের ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের আইজি একেএম শহীদুল হক। তিনি জানান, ওই আগুনের ঘটনায় একটি বিদেশি গণমাধ্যমের খবরকে কেন্দ্র করে দেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব উঠে। তবে বাংলাদেশ পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে। ইতিমধ্যে হাইকোর্ট ওই ঘটনা তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেখানে আগুন কারা লাগিয়েছে তা জানতে পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। তবে দোষী যেই হোক না কেন, তাকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। শুক্রবার সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত শহীদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা জানান। আইজিপি জানান, সাঁওতালপল্লীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনা দেশের সকল সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কিছুদিন আগে বিদেশি একটি টিভি চ্যানেলের ফুটেজের ওপর ভিত্তি করে দেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, পুলিশ ওই সাঁওতালপল্লীতে আগুন দিয়েছে। তিনি আরো জানান, ওই গুজবটি পুলিশের নজরে এসেছে। ইতিমধ্যে হাইকোর্ট ওই আগুনের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করতে বলেছেন। তারই ভিত্তিতে বর্তমানে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কোনো মন্তব্য করা যাবে না। তবে দোষী যেই হোক না কেন তাকে অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। তাতে পুলিশ হোক আর যেই হোক। এমন অপরাধ বরদাশত করা হবে না। তিনি আরো জানান, ডিবি পুলিশের সদস্য শের আলী পুলিশ বাহিনীর গৌরব। তিনি যেটা করেছেন তাতে পুলিশ বাহিনীর সম্মান আরো বেড়েছে। এছাড়া পুলিশ বাহিনীতে যারা ভালো কাজ করবে ডিপার্টমেন্ট অবশ্যই তাদের পদকের মাধ্যমে সম্মানে ভূষিত করবে। তিনি আরো জানান, সামপ্রতিক সময়ে দেশে কয়েকটি জঙ্গিবাদের ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় সাধারণ নাগরিক মারাও গেছে। তবে আগের চেয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে তার জন্য কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, অতিরিক্ত আইজিপি মইনুল আহসান চৌধুরী, ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.