মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে আজ সন্ধ্যা ৭টায় লড়াইয়ে নামবেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহীম। বিপিএলের চতুর্থ আসরে মুশফিক নেতৃত্ব দিচ্ছেন বরিশাল বুলসের। অন্যদিকে আসরে কাগজে-কলমে সেরা দলের একটি সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটস। দলটিতে দেশি-বিদেশি তারকা ক্রিকেটারের সংখ্যা অন্যান্য দলের তুলনায় বেশি। দলটির অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আছেন তাই স্বস্তিতে। গতকাল একাডেমি মাঠে দলীয় অনুশীলন শেষে সাকিব বলেন, ‘আমাদের ব্যাকআপ খেলোয়াড় ভালোই আছে। যারা আমাদের দলে আছে সবাই ম্যাচ খেলার মতো। এখন আমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে কারা প্রথমে খেলবে। যদি কেউ ইনজুরিতে পড়ে তখন কাকে দিয়ে সে জায়গাটা পূরণ করাবো। আমার কাছে মনে হয় না কোনো বিদেশি খেলোয়াড়ের ইনজুরি আছে। বিদেশি কেউ ইনজুরিতে পড়লে আমাদের সে রকম ব্যাকআপ খেলোয়াড় আছে।’ অন্যদিকে বরিশাল বুলসের অধিনায়ক মুশফিকের জন্য চ্যালেঞ্জ গত আসরের সাফল্য ধরে রাখা। কারণ তার ভায়রা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বে বরিশাল তৃতীয় আসরে খেলেছিল ফাইনাল পর্যন্ত। তবে মুশফিক এই সব না ভেবে নিজের খেলা ও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবছেন। দলের সিনিয়র ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফীস বিশ্বাস করেন তাদের দলের অন্যতম শক্তি বোলাররা। বিশেষ করে দেশীয় বোলিং শক্তি। বরিশালের পেসারদের মধ্যে অন্যতম জাতীয় দলে উপেক্ষিত আল আমিন হোসেন। আরও আছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পক্ষে গত আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ উইকেট নেয়া পেসার আবু হায়দার রনি। আরও আছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। বিপিএল পিছিয়ে যাওয়াতে হতাশ হননি সাকিব। বরং এতে তিনি ভালো দিকও খুঁজে বের করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের টিমের জন্য এটা ভালো হয়েছে। কারণ আমরা বাড়তি অনুশীলন করার সুযোগ পেলাম। সবার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। আমার মনে হয় দলটাকে এক সঙ্গে করার জন্য বিরতিটা খুবই ভালো কাজে দিয়েছে।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.