বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি আগেই নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। কিন্তু এই সফর নিয়ে দেশটির ক্রিকেটারদের মধ্যে দুটি গ্রুপ দেখা যাচ্ছে। মঈন আলী, জনি বেয়ারস্টো ও ক্রিস জর্ডানরা সরাসরি বলে দিয়েছেন যে, তারা বাংলাদেশ সফরে যাবেন। কিন্তু ওয়ানডে দলের অধিনায়ক এউইন মরগান ও অ্যালেক্স হেলসের মতো কয়েকজন দোটানায় ভুগছেন। বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে তাদের মনের মধ্যে এখনও খুঁতখুঁত কাজ করছে। ইংল্যান্ড দলের ডিরেক্টর অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস শুরু থেকেই বলে আসছেন যে, তিনি কাউকে বাংলাদেশ সফরের জন্য জোর করবেন না। কিন্তু এবার বাংলাদেশ সফরে যেতে না চাওয়া খেলোয়াড়দের ‘হুমকি’ দিয়ে রাখলেন তিনি। এই সফরে না গেলে ভবিষ্যতে দলে তারা জায়গা হারাতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিলেন স্ট্রাউস। এতে বাংলাদেশ সফরে না এলে অধিনায়ক মরগ্যান ও অ্যালেক্স হেলস দলে জায়গা হারাতে পারেন। ‘দ্য টেলিগ্রাফ’কে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক স্ট্রাউস বলেন, ‘কোনো সফরে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া মানে, দলে আপনার জায়গাটা অন্য কাউকে ছেড়ে দিচ্ছেন, যারা সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারে। একই ঘটনা ঘটে কেউ ইনজুরির কবলে পড়লে। একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আপনি চলে যান মাঠের বাইরে। আর এ সময়ে অন্য কেউ যদি খুব ভালো করে তাহলে ভবিষ্যতে দলে থাকার ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা দেয়া যায় না।’ বাংলাদেশ সফরের পর পরই ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল যাবে ভারত সফরে। দুই সফরের জন্য একটি দলই নির্বাচন করতে চান ইংল্যান্ডের নির্বাচকরা। এখন কেউ বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নিলে বাদ পড়তে পারেন ভারত সফরের জন্যও। সবকিছু মাথায় রেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের। আর সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে মরগ্যানদের। এই সময়ের মধ্যে স্ট্রাউস খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সরাসরি ‘হ্যাঁ কিংবা না’ শুনতে চান। স্ট্রাউস বলেন, ‘বাংলাদেশ সফরে কি আমি দুই অধিনায়ককেই দেখতে চাই? অবশ্যই। শুধু নিজের স্বার্থ দেখার চেয়ে বাড়তি কিছু ভূমিকা ও দায়িত্ব থাকে অধিনায়কের। দলের প্রতি তাদের কিছু দায়িত্ব থাকে।’ সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি শেষ পর্যন্ত নিজের হাতে থাকলেও স্ট্রাউসের এই কথাগুলোতে বড় চাপে পড়েছেন এউইন মরগ্যান। ঠিক এই ব্যাপারে দুদিন আগে মরগানকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ড দলে ব্রাত্য হয়ে পড়া কেভিন পিটারসেন। মরগানকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সফর থেকে বিরত থাকলে মরগান ভবিষ্যতে যখন খারাপ পরিস্থিতির মুখে পড়বে, দল হারছে বা নিজে রান পাচ্ছে না-এমন পরিস্থিতিতে সে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমর্থন আগের মতো পাবেন না। কারণ, সে বোর্ডের বিরুদ্ধাচরণ করেছে। ব্যাপারটা এ রকমই। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত তাকে তাড়িয়ে বেড়াবে।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.